দর্পণ ব্যাখ্যা করে উত্তল এবং অবতল দর্পনে বস্তুর প্রতিবিম্ব ব্যাখ্যা করণ, আলোর প্রতিফলনও দর্পণের প্রকারভেদ গোলীয় উত্তল দর্পণে বস্তুর প্রতিবিম্ব গোলীয় অবতল দর্পণে বস্তুর প্রতিবিম্ব ব্যাখ্যা করতে হবে

 দর্পণ ব্যাখ্যা করে উত্তল এবং অবতল দর্পনে বস্তুর প্রতিবিম্ব ব্যাখ্যা করণ

শিখনফল/বিষয়বস্তু :

  • আলোর প্রতিফলন ব্যাখ্যা করতে পারবে।,
  • দর্পণের প্রকারভেদ ব্যাখ্যা করতে পারবে।,
  • আলোক রশ্মির ক্রিয়ারেখা অঙ্কন করে দর্পণে সৃষ্ট প্রতিবিম্ব ব্যাখ্যা করতে পারবে।,

নির্দেশনা :  

  • আলোর প্রতিফলন ব্যাখ্যা করতে হবে,
  • দর্পণের প্রকারভেদ ব্যাখ্যা করতে হবে,
  • গোলীয় উত্তল দর্পণে বস্তুর প্রতিবিম্ব ব্যাখ্যা করতে হবে,
  • গোলীয় অবতল দর্পণে বস্তুর প্রতিবিম্ব ব্যাখ্যা করতে হবে,
  • আলোর প্রতিফলন ব্যাখ্যা করতে হবে,
  • আলোক রশ্মি কোন সমসত্ব স্বচ্ছ মাধ্যমের মধ্য দিয়ে যেতে যেতে অন্য কোন মাধ্যমে আপতিত হলে, ওই আলোকরশ্মির কিছু অংশ দ্বিতীয় মাধ্যমের তল থেকে অভিমুখ পরিবর্তন করে আবার প্রথম মাধ্যমে ফিরে আসে। এই ঘটনাকে আলোর প্রতিফলন বলে

দুই মাধ্যমের মধ্যে যে বিভেদ তল থেকে আলোর প্রতিফলন ঘটে সেই তলকে প্রতিফলক বলে। সমতল দর্পণ এবং বিভিন্ন মসৃণ ও চকচকে ধাতব পদার্থ প্রতিফলকের কাজ করে।

প্রতিফলিত আলোকের পরিমাণ কোন কোন বিষয়ের উপর নির্ভর করে

প্রতিফলিত আলোকের পরিমাণ যে যে বিষয়ের উপর নির্ভর করে তা হল
১. প্রতিফলক তলে কত কোণে আলোক রশ্মি আপতিত হয় তার উপর নির্ভর করে। আলোকরশ্মি প্রতিফলন তলের সঙ্গে যত কম কোণ উৎপন্ন করে পড়বে অর্থাৎ আপতন কোণটি যত বড় হবে, প্রতিফলিত রশ্মির পরিমাণ তত বেশি হবে।
২. প্রতিফলকের প্রকৃতি এবং মাধ্যমের উপর নির্ভর করে।
বায়ু থেকে কাচের উপর লম্বভাবে আলোক রস্মি পড়লে ওর সামান্য অংশও প্রতিফলিত হয় কিন্তু বায়ু থেকে দর্পণে আলোকরশ্মি পড়লে ও’র বেশিরভাগই প্রতিফলিত হয়|

  • দর্পণের প্রকারভেদ ব্যাখ্যা করতে হবে,

দর্পণ হলো এমন একটি মসৃণ তল যেখানে আলোর নিয়মিত প্রতিফলন ঘটে। সাধারণত কাচের একপাশে ধাতুর প্রলেপ লাগিয়ে দর্পণ তৈরি করা হয়ে থাকে কারণ কাচ একটি স্বচ্ছ এবং অনমনীয় বস্তু। কাচের যেদিকে সিলভারিং (কাচে ধাতুর প্রলেপ লাগানোর পদ্ধতি) করা থাকে তার বিপরীত পৃষ্ঠকে দর্পণের পৃষ্ঠ বা প্রতিফলক পৃষ্ঠও বলা হয়। দর্পণ প্রধানত দুই প্রকার। যথা-

  1. সমতল দর্পণ (Plane mirror) ও
  2. গোলীয় দর্পণ (Spherical mirror)

সমতল দর্পণ : কোনো সমতল পৃষ্ঠ যদি মসৃণ হয় এবং তাতে আলোর নিয়মিত প্রতিফলন ঘটে তবে তাকে সমতল দর্পণ বলে। আমরা প্রতিদিন চেহারা দেখার জন্য যে আয়না ব্যবহার করি সেটি সমতল দর্পণ।

গোলীয় দর্পণ : যে দর্পণের প্রতিফলক পৃষ্ঠ কোনো গোলকের অংশবিশেষ তাকে গোলীয় দর্পণ বলে।

বিভিন্ন ধরনের দর্পণ আমরা বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করে থাকি। এগুলো নিচে বর্ণনা করা হলো:
সমতল দর্পণ:

  • সমতল দর্পণের সাহায্যে আমরা আমাদের চেহারা দেখি।
  • চোখের ডাক্তারগণ রোগীর দৃষ্টি শক্তি পরীক্ষা করার জন্য বর্ণমালা পাঠের সুবিধার্থে সমতল দর্পণ ব্যবহার করে থাকে।
  • সমতল দর্পণ ব্যবহার করে পেরিস্কোপ তৈরি করা হয়।
  • পাহাড়ি রাস্তার বাঁকে দুর্ঘটনা এড়াতে এটি ব্যবহার করা হয়।
  • বিভিন্ন আলোকীয় যন্ত্রপাতি যেমন- টেলিস্কোপ, ওভারহেড প্রজেক্টর, লেজার তৈরি করতে সমতল দর্পণ ব্যবহার করা হয়।
  • নাটক, চলচ্চিত্র ইত্যাদির সুটিং এর সময় সমতল দর্পণ দিয়ে আলো প্রতিফলিত করে কোনো স্থানের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি করে।

অবতল দর্পণ:

  • সুবিধাজনক আকৃতির অবতল দর্পণ ব্যবহার করে মুখমণ্ডলের বিবর্ধিত এবং সোজা প্রতিবিম্ব তৈরি করা হয়, এতে রূপচর্চা ও দাঁড়ি কাটার সুবিধা হয়।
  • দন্ত চিকিৎসকগণ অবতল দর্পণ ব্যবহার করেন।
  • প্রতিফলক হিসেবে অবতল দর্পণ ব্যবহার করা হয়। যেমন– টর্চলাইট, স্টিমার বা লঞ্চের সার্চলাইটে অবতল দর্পণ ব্যবহার করে গতিপথ নির্ধারণ করা হয়।
  • অবতল দর্পণের সাহায্যে আলোকশক্তি, তাপশক্তি ইত্যাদি কেন্দ্রীভূত করে কোনো বস্তুকে উত্তপ্ত করতে ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও এটি রাডার এবং টিভি সংকেত সংগ্রহে ব্যবহৃত হয়। যেমন– ডিশ এন্টেনা, সৌরচুল্লী, টেলিস্কোপ এবং রাডার সংগ্রাহক ইত্যাদি।
  • অবতল দর্পণের সাহায্যে আলোক রশ্মিগুচ্ছকে একটি বিন্দুতে কেন্দ্রীভূত করা যায় বলে ডাক্তাররা চোখ, নাক, কান ও গলা পরীক্ষা করার সময় এ দর্পণ ব্যবহার করেন।
  • গোলীয় উত্তল দর্পণে বস্তুর প্রতিবিম্ব ব্যাখ্যা করতে হবে,ও গোলীয় অবতল দর্পণে বস্তুর প্রতিবিম্ব ব্যাখ্যা করতে হবে,


  • A+
  • A-